একপাশে লালচে পাহাড় আর অন্যপাশে গাঢ় নীল আকাশের নিচে বিস্তৃর্ন সৈকত। তারই ধার ঘেঁষে বয়ে যাওয়া সুবিশাল ঝাউবনের সমাহার। মাঝখানে সারি সারি নারিকেল গাছ আর তারই ফাঁকে ফাঁকে অজস্র ফুলের বাগান। এর মাঝে কিছু ছোট ছোট তাবুর মতো ঘর। বলছি পর্যটক নন্দিত শহর কক্সবাজারের সবচেয়ে ইউনিক মনোমুগ্ধকর ক্যাম্পিং রিসোর্ট Campincox এর কথা।
প্রকৃতির এই শুদ্ধতার মাঝে খোলা আকাশের নিচে নিরিবিলি পরিবেশে প্রাণভরে মুক্ত বাতাসে বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নিতে কে না চায়! আর এমন ন্যাচারাল স্বাদ দেবার জন্য Campincox পর্যটকদের জন্য যেন দু’হাতভরে সাজিয়েছে। এই যেমন বিশ্রাম নেবার জন্য আছে রেস্ট হাউজ তার সাথে হ্যামকিং ব্যাবস্থা। রাত কাটাবার জন্য একপাশে এক এক করে সাজানো আছে তাবু।
আর অন্যপাশে আকর্ষণীয় পড হাউজ। যারা প্রিয়জনকে নিয়ে নির্জন পরিবেশে একটু ন্যাচারাল ফিলিংস নিতে চায়, সুন্দর মুহুর্তগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চায় তাদের জন্য ভিন্নধর্মী এই আয়োজন। পড হাউজগুলোর একপাশ খানিকটা খোলা থাকায় রাতের বেলায় মেঘমুক্ত আকাশে তারাগোনা আর সমুদ্রের গর্জন কান পেতে শোনার চেষ্টা করা এ যেন এক ভিন্নকিছু।
Campincox কে বাংলাদেশের প্রথম স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পিং স্পোর্ট গ্রাউন্ড বললে বোধহয় ভুল হবে না। ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ঘুড়ি উড়ানো,মাছ ধরা কি নেই এখানে! এছাড়া রিসোর্টের খুব কাছে অনিন্দ্য সুন্দর বিচ এবং ঝাউবাগান তার সাথে ম্যানগ্রোভ বনের দেখা মিলে নিমিষেই।
Campincox এর সবথেকে সুন্দর মুহূর্তগুলো উপভোগ করা যায় রাতের বেলায়। খোলা আকাশের নিচে তারাভরা অমাবস্যা অথবা ভরপুর পূর্ণিমায় প্রিয়জনকে নিয়ে মনোমুগ্ধকর ক্যান্ডি লাইট ডিনার কিংবা বন্ধুদের সাথে গানের আড্ডা তার সাথে রিসোর্টের ফ্রেশ ডাবের ফিলিংস আর লাইভ বারবিকিউর অমৃত স্বাদ এ যেন সোনায় সোহাগা।
রিসোর্টের সবখানে থাকবে অত্যাধুনিক সুযোগ আর খাবারের ব্যাপারটা থাকবে ভিন্নধর্মী তা কি হয়! বাহারি রকমের খাবারের অমৃত স্বাদ আর স্টাফদের আথিতেয়তা পুরো দিনের আনন্দকে আরো যেন বাড়িয়ে তোলে।
সবকিছু মিলিয়ে যান্ত্রিক জীবন থেকে দূরে গিয়ে একান্ত নিজের মতো করে প্রতিটা মুহূর্তকে উপভোগ করতে এর থেকে সাধ্যের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ইউনিক ক্যাম্পিং এন্ড রিলাক্সিং রিসোর্টের সন্ধান পাওয়া যেন দুষ্কর।