যদি এমন হয় রাংগামাটির লেকবেষ্টিত পাহাড়গুলোর মাঝে হঠাৎ আবিস্কার করলেন রাজপ্রাসাদ টাইপের কিছু একটা। তখন কি আপনার ইচ্ছে হবে না ঐ প্রাসাদে একটি দিন কাটিয়ে আসতে? আপনার এমন চাওয়া অনেকটা পূর্ণ করতে পারে হিল তাজ রিসোর্ট।
এই রিসোর্ট টি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই লেকের মাঝে, রাঙ্গামাটির চির সবুজের বুকে অবস্থিত। বুঝতেই পারছেন, রিসোর্টটিতে পা ফেলতে হলে সবার আগে আপনাকে পার হতে হবে কাপ্তাই লেকের ছোট একটি অংশ। একটি স্পিডবোট কিংবা নৌকার সাহায্যে আপনি পৌঁছে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত রাজকীয় গোছের এই রিসোর্টটিতে।
এই রিসোর্টটিতে আশেপাশে অপেক্ষাকৃত বিশাল জায়গা রেখেছে সাথে রেখেছে রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক স্বকীয়তা। উটকো কোন দালান বা মূর্তি না রেখে এখানে সুযোগ দিয়েছে পশু পাখির অবাধ বিচরণ- সকালে আপনার ঘুম ভাঙবে পাখির ডাকে এবং সারাদিন দেখতে পাবেন আশেপাশে টার্কি আর বানরের বিচরণ। রাতে বিছানায় মাথা দিয়ে ঘুমানোর আগে আগে টের পাবেন আশেপাশে ঝি ঝি পোকার কোলাহল।
হিল তাজ রিসোর্ট নিয়ে যত ট্র্যাভেল ভ্লগ দেখা যায় তাতে পরিষ্কার, এখানের দায়িত্বে থাকা সকলের ব্যাবহার এখানের পরিবেশের মতোই স্বচ্ছ। এখানে প্রতি বেলার খাবার জন্য রয়েছে আলাদা ঘর যেটা সবসময় পরিষ্কার এবং পরিপাটি। সবথেকে মজার হলো, কাপ্তাই থেকে যে মাছগুলো ধরা হয় তা এখানের খাবারের জন্য পরিবেশিত হয়। প্রতিবেলার খাবারের মূল্য সাধারণত নির্ভর করে খাবারের আইটেমের উপর, তবে তাদের ফেইসবুক পেইজে সবকিছু স্পষ্টভাবে বলে দেয়া থাকে।
প্রায়ই দেখা যায়, নানান উপলক্ষকে কেন্দ্রে করে রিসোর্টটিতে নানান মূল্যছাড় দেয়া হয়। সবথেকে আনন্দদায়ক বিষয় হলো, এখানে বারবিকিউ করার সু-ব্যবস্থা আছে। রাতের প্রকৃতির মাঝে বারবিকিউ এর অনন্য সুযোগ সত্যিই অনবদ্য। এখানে এসি কিংবা নন এসি অথবা মানুষ থাকার হিসাবে রুমের আকার এবং অবস্থানের পার্থক্য আছে, সেই হিসাবে টাকার হিসাবেও।
আছে কাপ্তাই লেকে বোটে করে দর্শনীয় স্থান ভ্রমন- ৭ টি স্থান (পেইড) ১. সুভলং ঝড়না ২. ছোট ঝড়না ৩. ঝুলন্ত ব্রীজ ৪. পেদা টিং টিং ৫. জুম পাহাড় ৬. রাজবন বিহার ৭. বুদ্ধ মন্দির।
কাপ্তাই লেকে বোটে করে দর্শনীয় স্থান ভ্রমন- পাঁচ টি স্থান (পেইড) ১.কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ২. নেভীক্যাম্প ৩. বীরশ্রেষ্ট মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধি স্থান ৪. বেরাইন্যা রেষ্টুরেন্টে এবং ৫. ইকোপার্ক। এছাড়াও রয়েছে বাইরের মুক্ত পরিবেশে তাঁবুতে থাকার সুযোগ।
রাংগামটির মত একটি জায়গায় গিয়ে যদি এমন রিসোর্টে থাকা যায় তাহলে আপনার ভ্রমণ যে ষোলআনা পূর্ণ হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।