সীমান্তঘেষা নয়নাভিরাম রিসোর্ট Jaflong Green Resort

অনাবিল সৌন্দর্য্যের আধার, প্রকৃতি কন্যা “জাফলং”এর মধ্যমণি হয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবুজ চাদরে মোড়ানো “জাফলং গ্রীন রিসোর্ট”। যান্ত্রিক জীবনে থেকে খানিক দূরে নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির স্পন্দনে একরাশ নূতন অভিজ্ঞতার সমাহারের জন্য রিসোর্টটি সেরা।

ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবাহিত সফেদ জলধারা,ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ,পিয়াইন নদীর নীলাভ পানি,সবুজাভ উঁচু পাহাড় সবই যেন রিসোটের জানালা দিয়ে ডাক দেয়।

রিসোর্ট থেকে ১০০ গজ হেঁটে গেলেই প্রকৃতির  অপরুপ লীলাভুমি জাফলং জিরো পয়েন্ট আর ৩০০ গজ দুরত্বেই আছে মায়াবী ঝর্ণা।রিসোর্টের কাছেই অবস্থিত সংগ্রামপুঞ্জির সমতল চা বাগানের সৌন্দর্য্য মনে কেড়ে নেয় যেকোনো পর্যটকের।খাসিয়াপুঞ্জিতে আদিবাসী দের জীবনযাত্রা দেখে হারিয়ে যাওয়া যায় অন্য এক জগতে।

প্রমিলা রাজ্য জৈন্তিয়ার সব সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য এই রিসোর্টে থাকা যেন সোনায় সোহাগা।এই রিসোর্টে অবস্থান নিয়ে সহজেই ঘুরে আসা যেতে পারে  নীলাভ সবুজ স্বচ্ছ পানির লালাখালে, পাথরবিছানো দৃষ্টিনন্দন বিছানাকান্দিতে,শাপলার রাজ্য ডিবির হাওড়ে।বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন” রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট”  ও রিসোর্টটির খুব কাছেই।

প্রাঙ্গনে ফুলের মনমাতানো সৌরভ আর ফলের ঘ্রাণ রিসোর্টটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।বৃক্ষরাজির ছোয়ায় পর্যটকরা মত্ত হন।প্রাকৃতিক পরিবেশে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন রিসোর্টটিতে রয়েছে কয়েক ধরণের সুসজ্জিত ১৮ টি রুম।পুরো আবাসিক ভবন পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে।কাঠের রেলিং অকৃত্রিমতার পরিচায়ক দেয়।খোলামেলা জায়হায় ক্যাম্পিং করে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে।

রিসোর্টটি আরো বেশি প্রাণবন্ত হয় রাতে, ঝিঝিপোকার শব্দ গ্রামীন পরিবেশের অনুভুতি দেয়।বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ডাউকি শহরের বাড়ির বাতিগুলো দেখে মনে হয় যেন পাহাড়ের চুড়ায় সাজানো প্রদীপ।রাতে রিসোর্টে বারবিকিউ পার্টির ব্যবস্থাও রয়েছে।

সবুজের স্নিগ্ধতায় অতিথিদের ভ্রমণকে আরো সহজতর করতে রিসোর্ট কতৃপক্ষ ভ্রমণ গাইডের মতো সহায়তা করে।নয়নাভিরাম পরিবেশে থেকে সিলেটের অনবদ্য দর্শনীয়স্থানগুলো পরিদর্শন করতে চাইলে চলে আসতে পারেন “জাফলং গ্রীন রিসোর্ট”এ।

Share with your beloved

মন্তব্য করুন