বাঁশের সুঘ্রাণ আর মেঘের মাঝে অপরূপ মেঘাদ্রি ইকো রিসোর্ট

সকালটা যদি শুরু হয় বাঁশের কটেজে থাকার প্রশান্ত অনুভূতি আর চোখ জুড়িয়ে যাওয়া মেঘের ভেলা চারপাশে দেখতে দেখতে, তাহলে কেমন মনে হবে? জীবনকে অনেক প্রশান্তির অবশ্যই মনে হবে।

আমাদের মনের এই প্রশান্তির কথা মাথায় রেখেই অত্যন্ত সাধারণভাবে, সাধারণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছে মেঘাদ্রি ইকো রিসোর্ট যা অবস্থিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবথেকে জনপ্রিয় স্থান- সাজেকে। পাহাড়ের মাঝে মেঘের ভেলা, চারদিকে প্রশান্তি আর নির্মল বাতাস এবং সাথে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার অনন্য অনুভূতি- বাঁশের কটেজ।

জীবনকে তখনই সবথেকে সুন্দর মনে হয়- যদি সকালটা সুন্দর এবং প্রশান্তির হয়। বুক ভরে যদি শ্বাস নিতে পারা যায় তাহলে তার থেকে সুন্দর সকাল আর নেই- এর সুন্দরতম প্রমাণ হলো এই রিসোর্টের বারান্দাটি। এই বারান্দায় দাঁড়ালেই দেখা যায় সাজাকের মনোরম দৃশ্য- পাহাড়, তুলার মতো মেঘ।

সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো- রিসোর্টটি তুলনামুলকভাবে ছোট করে করা হয়েছে কিন্তু চারপাশের স্থান বড় রাখা যাতে আমাদের উপস্থিতির মাঝে প্রকৃতির স্থান কম না হয়ে থাকে। রিসোর্টটি সাধারণ রাখা হয়েছে শুধুমাত্র প্রকৃতির কাছাকাছি আমাদের রাখার উদ্যোগ নিয়ে।

আকাশ মানুষের মনের পরিধি বড় করে, মনকে উদার করে। এই রিসোর্টটির চারপাশ জুড়ে সারাদিন এবং সারারাতের আকাশ দেখার সুযোগ আছে। আকাশের প্রতিক্ষণে বদলানো রঙ, রাতের আকাশের তারা এবং পূর্ণিমা রাতের চাঁদ দেখার সুবর্ণ সুযোগ আছে এই রিসোর্টটিতে। এছাড়া এখানে রয়েছে ফুলের বাগান এবং মিজোরাম পাহাড়ের ১৮০ ডিগ্রি ভিউ।

এটি আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট এবং নতুন রিসোর্ট তাই বাংলাদেশের অত্যাধুনিক রিসোর্টের তুলনায় সুযোগ সুবিধা কম হলেও মনের প্রশান্তির ক্ষেত্রে কমতি রাখতে দিবে না। এই রিসোর্টটি আধুনিকতার জালে নিজেকে না দিয়ে করেছে বাজেট ফ্রেন্ডলি এবং নির্মল। খাওয়াদাওয়া এবং আতিথেয়তায় রয়েছে তাদের স্বকীয়তা, এখানে আয়োজকদের আচরণ এদের পরিবেশের মতোই নির্মল।সব মিলিয়ে খাবার সার্ভিস, রুম সার্ভিস সন্তোষজনক।

Share with your beloved

মন্তব্য করুন