বাংলাদেশের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ঘুরতে এসে থাকার জন্য একটি শান্ত পরিবেশ চাইলে মুন নেস্ট রিসোর্ট অন্যতম। সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি বাংলো ধাচের এই রিসোর্টটি পরিবেশ সচেতনতার সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকতা ও গ্রাম্য আবহের এক অনন্য তৈরি।
এখানে মোট চারটি বাংলো আর একটি রেস্টুরেন্টে রয়েছে। এখানে এলে সমুদ্রের সাথে পাহাড়কেও দেখে নেয়া যাবে কারন এর উভয় পাশে রয়েছে সমুদ্র,পিছনে পাহাড় এবং চারপাশে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। এখান থেকে বিচে যেতে লাগে মাত্র ৬-৭ মিনিট আর যাওয়ার রাস্তাটিও কাঠের ধাপ দিয়ে তৈরি।
প্রতিটি বাঙ্গলোতে রয়েছে জেবিএল স্পিকার, আধুনিক সাজসজ্জা ও প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা এবং ভাল ওয়াশরুম ব্যবস্থা এবং সামনে রয়েছে বিশাল বাগান। রিসোর্টটিতে একটি বিল্ট ইন বিশাল বাইনোকুলার রয়েছে যা দ্বারা দূরের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা যায় আর আছে দোলনা যেখানে দোল খেতে খেতে সবুজের সাথে সমুদ্রের প্রেমেও পড়তে পারবেন।
চাইলে আশে পাশের দর্শনীয় স্থান রেজুখাল,ঝাউবন, পেচারদ্বীপ এবং হিমছড়িতেও ঘুরতে পারবেন। সার্ভিস প্রদানে মালিক কর্মী সহ সবাই খুবই আন্তরিক আর নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে তারা সকল সুবিধা প্রদান করবে। আর নিরাপত্তায় তারা সর্বদা সচেতন ও সজাগ থাকে।
পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বলতে গেলে মুন নেস্ট রিসোর্টটি পরিপাটি এব সর্বদাই পরিচ্ছন্ন। রুম গুলোও নিয়মিত সাজানো এবং পরিস্কার করা হয়। খিদে মেটাতে তাদের রেস্টুরেন্টেই পেয়ে যাবেন সামুদ্রিক খাবারের বিশেষ কিছু পদ আর যওয়ার সাথে সাথেই পাবেন কাঠ গোলাপ বা ফুল ফল দিয়ে সাজানো ফলের শরবত। প্রতি সকালে পাবেন সৌজন্য ব্রেকফাস্ট যার সময় সকাল ৮টা থেকে ১০ টা ।
রাতের রিসোর্টটির আলোক সজ্জা যে কারো মন ভুলিয়ে দেয় আর সে সময় চাইলেই নিজের প্রিয় জনকে নিয়ে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের সুযোগও আছে। আবার ইচ্ছে হলে বনফায়ার কিংবা পার্টিও করতে পারবেন।
নাগরিক কোলাহল থেকে একদম দূরে অবস্থিত হওয়ায় মূল শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৫ কি.মি । তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পথগুলোর একটি মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে আপনার বিরক্তি তো আসবেই না বরং আপনার ভ্রমণের বাড়তি পাওনা হবে এই যাত্রাটি।