সবুজের সমারোহে আবহ চারপাশ আর বিশালাকার অংশজুড়ে বিস্তৃত শালবন। আর, তারই মাঝখানে ছোট্ট একটি অংশে ঠাই করে আছে সৌন্দর্য্যঘেরা কতকগুলো সুউচ্চ ভবন, লেক এবং বিশালাকার মাঠ। যেন মনে হতে পারে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের মাঝে ভিন্ন কিছুর আবির্ভাব। বলছি ঢাকার অদূরে গাজীপুরে প্রকৃতির আবহে গড়ে উঠা রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টটির কথা।
রিসোর্টটি এতটাই গহীনে যে, মনে হতে পারে আপনি সভ্য সমাজের বাহিরে নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন। রিসোর্ট ধার ঘেঁষতেই দেখা মিলে অসম্ভব সুন্দর চাদরে মোড়ানো একটি তোরন। যেন প্রাকৃতিক সবুজ আবহে আপনাকে আমন্ত্রণের অপেক্ষা।
প্রকৃতিতে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য রয়েছে ২৬ টি কটেজ পার্ক। প্রত্যেকটি কটেজ পার্কে রয়েছে ২০৮ টি রুম। প্রতিটি ভবন ৪ তলা। প্রতিটি তলায় রয়েছে সব ধরনের সুযোগে সম্বলিত ৪ টি করে রুম। রিসোর্টটি এতটাই গাছ-গাছালিদের সন্নিকটে যে, জানালায় অ-পলক দৃষ্টিতে দু-চোখখানা মেলে ধরলেই যেকেউ বনেদের রাজ্যে হারিয়ে যেতে বাধ্য।
প্রতিটি ভবনে রয়েছে একটি করে অবজারভেশনে টাওয়ার। যাতে উঠলে পুরো গহীন বন অবলোকন করা যায় পাখির দৃষ্টিতে। ওয়াচ-টাওয়ারগুলো বনের এতটাই সন্নিকটে যে সবুজের আড়ালে অন্যকোন আবহের দেখা মেলাটা নিতান্তই ভার।
এছাড়াও রিসোর্টটিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সুইমিংপুল, ইটের তৈরি কিন্তু মাটির প্রলেপ দিয়ে সাজানো ঘর, ছনের ঘর এবং ক্যাফেটরিয়া। রিসোর্টে আগত অতিথিরা ইচ্ছে করলেই লেকে মাছ ধরা, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো কিংবা সাইকেল চালিয়ে মাঠের চারপাশে গড়ে উঠা শাকসবজির বাগান এবং ফার্ম ঘুরে দেখতে পারে। বিনোদনের ব্যাবস্থাস্বরুপ রিসোর্টে আগত অতিথিদের নিয়ে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সবারই যেকোনো পরিবেশনা করার সুযোগ থাকে।
রিসোর্টের আশপাশ ভিন্ন মোড়কে সাজানো থাকবে আর খাবারের ব্যাপারটা থাকবে সেকেলে সেটা কী হয়! দেশি-বিদেশি সুস্বাদু খাবারের স্বাদ, তার উপর স্টাফদের আতিথেয়তা রিসোর্টে থাকবার আনন্দ নিঃসন্দেহে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টটি এতটাই সুন্দর যে, একবার কেউ অবলোকন করলে তার আবহে মুগ্ধ না হওয়ার অবকাশ নেই। ক্লান্তিযুক্ত সময়টাকে ছুটি দিয়ে পরিবেশের মাঝে খানিকটা সময় নিজেকে মেলে ধরতে রিসোর্টটি হতে পারে বেস্ট চয়েজ।
[ বাংলাদেশের এমন আরো সুন্দর রিসোর্টগুলোর আপডেট পেতে ইনস্টল করুন আমাদের মোবাইল অ্যাপ https://ply.gl/com.marinoft.resort_diary ]